ফ্রিল্যান্সদের ভিসা ডকুমেন্টস নিয়ে বরাবর কনফিউশনে ভুগেন অনেক ভাইরা। কিভাবে কোন ডকুমেন্টস লাগবে ভিসা করতে সেটা বুঝে উঠতে পারেন না। অনেক এজেন্সী ফ্রিল্যান্সার পেশা না বুঝার কারণে ভুল তথ্য দেয়, অনেকেই বলে ট্রেড লাইন্সেস করে ভিসা আবেদন করতে।অথচ আপনার মার্কেটপ্লেস প্রোফাইল, আর্নিং সার্টিফিকেট আর Payoneer/Wise স্টেটমেন্ট দিলেই যথেষ্ট।
চলুন দেখাই আমি ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়শিয়া আর সিঙ্গাপুরের ভিসা করতে কী কী ডকুমেন্টস দিয়েছিলাম আমার প্রফেশনের প্রমাণ স্বরূপ।
- NOC (যে কোম্পানিতে জব করেছিলাম তাদের থেকে নিয়েছিলাম)Freelancer ID Card (optional)
- Cover Letter (আমি কী করি, আগে পরে কোথায় ভ্রমণ করেছি, কোথায় জব করেছি কত বেতনে, শেষ ১২ মাসের স্যালারি টেবিল আকারে সাজিয়ে দিয়েছিলাম)
- Bank & Wise Statement (আমার সালারি Wise এ আসে)
- Certificate of Employment (optional) (এটা মূলত লাগে না, আমার প্রথমবার থাই ভিসা রিজেক্ট হলে অয়ন ভাইয়ের পরামর্শে দিয়েছিলাম আমার কোম্পানি থেকে নিয়ে। এই লেটার মূলত উল্লেখ থাকে আমি কোম্পানিতে কতদিন ধরে কত স্যালারিতে কোন পজিশনে জব করতেছি।)
- Marketplace Earning Statement/Certificate (আপনারা যে মার্কেটপ্লেসে কাজ করেন সেখান থেকে ডাউনলোড করে দিলেই হবে।)
- Office ID (optional) (রিমোট জবে লাগে না, তাও আমি করে নিয়েছিলাম, আর সেটা মালয়েশিয়া ভিসা ইন্টারভিউ তে ভাল ইম্প্রেশন দিয়েছিল।)
- Letter Of Invitation (LOI) (সিঙ্গাপুরের ক্ষেত্রে এজেন্সি এনে দেয়, আমি যেহেতু থাইল্যান্ড WordCamp এ গিয়েছিলাম, সেক্ষেত্রে ওরাই দিয়েছিল। ইনভিটেশন লেটার গুলা খুব কাজে দেয়।)
এর বাহিরে আর কিছু লাগবে না। বাকি সব ডকুমেন্টস অন্য সবার মত দিলেই হয়ে যাবে। আমি এর চেয়েও কম ডকুমেন্টস দিয়ে ভারতের ভিসা করেছিলাম। আমাদের দেশে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং বা রিমোট জব এর সাথে পরিচিত না হলেও, বাহিরের দেশে/এম্বাসি গুলোতে এইগুলো নিয়ে কোন উদ্ভট প্রশ্ন করে না। এর বাহিরে কিছু জানার থাকলে আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন।
Leave a Reply